বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হাতাহাতি 

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১১ এপ্রিল, ২০২১ ২১:১৪

প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারি বলেন, দুপুর ১২টার দিকে ছাত্রলীগের কয়েকজন আসেন পরিচিত হওয়ার জন্য। এ সময় জুনিয়র কিছু কর্মী এসে টেন্ডার নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হলে আমি তাদের বের হয়ে যেতে বলি। এ সময় তাদের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) নতুন ক্যাম্পাসের টেন্ডার নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলীর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারি বলেন, দুপুর ১২টার দিকে ছাত্রলীগের কয়েকজন আসেন পরিচিত হওয়ার জন্য। এ সময় জুনিয়র কিছু কর্মী এসে টেন্ডার নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হলে আমি তাদের বের হয়ে যেতে বলি। এ সময় তাদের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। এরপর প্রক্টরিয়াল বডি এসে দুই পক্ষকে শান্ত করে।

তিনি আরও বলেন, এর আগে আশরাফুল, ইব্রাহিম ও শাকিল বেশ কয়েকবার এসেছিলেন। টেন্ডার হলে সেখান থেকে কিছু পার্সেন্টিজ রাখার প্রস্তাব দেন তারা। আজকের ঘটনা ওই সূত্র ধরেই হতে পারে।

জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নতুন ক্যাম্পাসের ২০০ একর জমির বাউন্ডারি ওয়ালের ই-টেন্ডার জমা দেয়ার শেষ সময় ছিল রোববার।

এ টেন্ডারকে ঘিরে ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আশরাফুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম ফরাজি, সৈয়দ শাকিল কয়েকদিন আগে প্রধান প্রকৌশলীর সঙ্গে দেখা করেন।

দুপুরে ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আল আমিন শেখ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসনে মোবারক রিশাদ, নাজমুল ইসলাম সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামানসহ কয়েকজন নেতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী দপ্তরে আসেন।

এর কিছুক্ষণ পর সাবেক সহসভাপতি আশরাফুল ইসলাম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম ফরাজি ও সৈয়দ শাকিলের কর্মীরা প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে এসে হট্টগোল শুরু করেন।

এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের বাগবিতন্ডা ও হাতাহাতি শুরু হলে প্রক্টরিয়াল বডি এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

এ বিষয়ে, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসনে মোবারক রিশাদ বলেন, করোনার জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই সকালের দিকে আমরা কয়েকজন মিলে ক্যাম্পাসে যাই। পরিচিতদের সঙ্গে দেখা করি। বেলা ১২টার দিকে প্রধান প্রকৌশলীর কক্ষে ঢুকে কথা বলার সময় আশরাফুল, ইব্রাহিম ও শাকিলের গ্রুপের কর্মীরা হুট করে রুমে আসে। এ সময় টেন্ডারের কথা বলে আমাদের সঙ্গে হট্টগোল শুরু করেন।

সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাকিল বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না।

প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল জানান, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ প্রধান প্রকৌশলীর কক্ষে হট্টগোল করছে জেনে আমরা দ্রুত সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। দুই পক্ষকে বলেছি শান্ত থাকতে। ক্যাম্পাসে কেউ এ নিয়ে ঝামেলা করলে আমরা ব্যবস্থা নেব।

এ বিভাগের আরো খবর